ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ইহুদিবাদী দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্রের ঘোষণা দেন ইহুদি নেতারা। এর মাত্র ১১ মিনিট পরই মধ্যরাতে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিনের গাজার রাফা এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয় নেওয়া তাঁবুতে গত মে মাসের শেষ দিকে ইসরায়েলের এক হামলায় শিশুসহ ৪৫ জন নিহত হন। ওই হামলায় মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এক শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে চালানো এ হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা জিবিইউ-৩৯ বোমা। এরপর গত জুনের শুরুতে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন নারী–শিশুসহ আরও ৪৫ জন। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ওই হামলায়ও একই ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয় বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের অনুসন্ধানে উঠে আসে।
এ দুটি হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দায় সরব হলেও ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দ্ব্যর্থহীন সমর্থনে সামান্যতম বিচ্যুতি ঘটেনি; বরং কিছু ক্ষেত্রে ইসরায়েলের এ ধরনের নৃশংস হামলার পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা যায় মার্কিন রাজনীতিকদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, বিশ্বে উদার গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের ঝান্ডাবাহী যুক্তরাষ্ট্র কেন ইসরায়েল প্রশ্নে এতটা নমনীয়? মানবিক আইন লঙ্ঘনের মতো ঘটনায়ও কেন ইসরায়েলের ন্যূনতম সমালোচনা করতে পারে না মার্কিন নেতৃত্ব? এর নেপথ্যে রয়েছে যেমন তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব, তেমনি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও ধর্মীয় প্রভাব।
একুশেসংবাদ/প্র.আ/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :