মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু উত্তর ও দক্ষিণে সীমান্তরক্ষী পুলিশ ঘাঁটিসহ সব সামরিক অবস্থান দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধারা। শহরে জান্তার শেষ ঘাঁটিও ঘিরে ফেলার দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, এই মুহূর্তে শুধুমাত্র মংডু শহরে মায়ো থুগি ওয়ার্ডের বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৫-এ জান্তা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়া শহরেও কিছু জান্তা সেনা রয়েছে। সীমান্তরক্ষী পুলিশ ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক লড়াই চলছে।
সূত্র জানিয়েছে, আরাকান আর্মি বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৫ অবরোধ করে রেখেছে। শহরে একটি স্নাইপার ইউনিট এবং আরও কিছু যোদ্ধা মোতায়েন করেছে।
আরাকান আর্মি বাসিন্দাদের উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৫ আর্টিলারির সহায়তা নিয়ে ক্রমাগত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সেনারা।
আরাকান আর্মি রাখাইনের থান্ডওয়ে শহরও দখলে নিতে যাচ্ছে। তাদের হাতে শুধুমাত্র একটি পদাতিক ব্যাটালিয়নের পতন বাকি আছে। গত বছরের নভেম্বরে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে রাখাইন রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরকান আর্মি।
এদিকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের রাজধানী লাশিওতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। রাজধানীর ৫টি সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে আক্রমণ চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংগঠন থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।
শান রাজ্যের রাজধানী দখলের জন্য কয়েকদিন ধরেই আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে সেনাবাহিনীও। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে একটি বাড়িতে বোমার আঘাতে দুই শিশুসহ একটি পরিবারের ছয় সদস্য নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের কারণে উত্তরাঞ্চলীয় শানের রাজধানীতে সব ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :