ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘সৎসঙ্গ’ পদদলনে শতাধিক মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় প্রয়োজনে ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে হাথরাস জেলার রতি ভানপুর গ্রামে আয়োজিত ধর্মীয় সভায় পদদলনের ঘটনা ঘটে। এতে ১২১ জনের মৃত্যু হয়।
সভার আয়োজন করেছিলেন ‘ভোলে বাবা’ নামে পরিচিত এক ধর্মগুরু। তার অনুসারীরাও ওই আয়োজনে ছিলেন। তবে ঘটনার পর থেকে ভোলে বাবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশিরভাগই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটিতে ছিলেন। তবে এখনও স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও আটক করা হয়নি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, সেদিন প্রার্থনা সভায় ধর্মগুরু ভোলে বাবাকে দেখতে এসেছিলেন প্রায় আড়াই লাখ ভক্ত। এ সময় অল্প জায়গায় বহু মানুষের ভিড়ে দমবন্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সভা শেষ হওয়ার পর সেখান থেকে বের হওয়ার সময় পদদলিত হয়ে ১২১ জন মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের বেশিরভাগই নারী।
উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং বলেন, পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পেছনে বড় একটি কারণ প্রচণ্ড ভিড়। অনেকেই ভিড়ের মধ্যে ভোলে বাবার গাড়ির পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন। তিনি যে পথে হাঁটেন, পূজা করার জন্য সেই পথের মাটি সংগ্রহ করেন অনেকে। এ কারণে একের পর এক মানুষ পড়ে গিয়ে পদদলিত হন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আলিগড় রেঞ্জ) শলভ মাথুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত ৬ জনই `সৎসঙ্গে` স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেছিলেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, ভোলে বাবাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তদন্তের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় তার কোনো ভূমিকা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এফআইআর-এ তার নাম উল্লেখ নেই।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যারা অনুষ্ঠানের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর জন্য যারা দায়ী তারাই এর আওতায় আসবে।’
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :