যে জ্বালানি ট্যাংকারে বিষাক্ত রাসায়নিক বহন করা হয়েছে, সেই ট্যাংকার ঠিকঠাক পরিষ্কার না করেই তাতে ভোজ্যতেল পরিবহন করা হয়েছে, এমন এক খবরে উত্তাল হয়ে উঠেছে চীন। দেশটির সরকার বলেছে, তারা এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবদেনে বলা হয়, সম্প্রতি ভোজ্যতেল নিয়ে এই বিতর্ক অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এখন সম্ভাব্য খাদ্য দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র বেইজিং নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ট্যাংকারগুলোতে ভোজ্যতেল ও সিরাপের মতো খাদ্যপণ্য পরিবহন করতে দেখা গেছে এবং সেসব ট্যাংকার ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। একজন ট্যাংকার চালকের বরাত দিয়ে বলা হয়, দূষিত জ্বালানি বহনকারী ট্র্যাকগুলোতে ভোজ্যতেল পরিবহন করার রীতি এত বেশি ছিল যে, একে ‘ওপেন সিক্রেট’ হিসাবে বিবেচনা করা হতো।
দেশটিতে চলমান এই তেল কেলেঙ্কারি নিয়ে চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবো-তে কয়েক হাজার পোস্ট করা হয়েছে। অনেকে এটিকে ২০০৮ সালের সানলু গুঁড়াদুধ কেলেঙ্কারির সাথে তুলনা করেন। শিল্প কারখানার উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক মেলামাইন মিশ্রিত ওই দূষিত গুঁড়াদুধ পান করার কারণে প্রায় তিন লাখ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কমপক্ষে ছয়জন মারা যায়।সাম্প্রতিক এই বিতর্ক শুরুর পর বলা হচ্ছে, চীনের একাধিক বড় বড় কোম্পানিও এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত।
একুশেসংবাদ/আ.স/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :