প্রবাসে মিজানুর রহমান আজহারি আসবে আর লোক সমাগম হবে না, তা কি করে হয়! দক্ষিণ আফ্রিকায় অনিরাপদ চলাফেরা উপেক্ষা করেও বর্তমান সময়ের আলোচিত বক্তা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন ও ইসলামি গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারির তাফসির কোরআন মাহফিল অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধ মেহরাজ মিয়ার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন চয়নের ব্যবস্থাপনায় ইসলামিক ফোরাম অব আফ্রিকার সভাপতি মো. মোশাররফ হোসাইনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বয়ান করেন প্রখ্যাত আলেম ও আলোচিত ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি।
শনিবার (১৩ জুলাই) জোহানিজবার্গের মিড্রেন নিজামিয়া মসজিদে (তুর্কী মসজিদ) স্মরণকালের বৃহৎ তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আয়োজন করেন তাফসির মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটি দক্ষিণ আফ্রিকা। বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে মাহফিল শুরু হলেও দুপুর ২ টা ৪০মিনিটে মঞ্চে ওঠেন আজহারী। ২টা ৪০ মিনিট থেকে ৪টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা বয়ান করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও সাহাবিদের জীবনী, হালাল ব্যবসার গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং মুমিনের ৭টি বৈশিষ্ট্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন আজহারী। মুগ্ধ হয়ে তার বয়ান শোনেন হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি।
আজহারী স্টেজে ওঠার আগেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় মাহফিলস্থল। আগের রাতে দেশটির দুরদুরান্তে থেকে আশা প্রবাসী বাংলাদেশিরা জোহানিজবার্গ অঞ্চলের আত্মীয়-স্বজন পরিচিতদের কাছে কেউবা হোটেলে রাত যাপন করেন।সকাল ৮টা থেকে ক্রমান্বয়ে মাহফিলস্থল ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
মো. মোশাররফ হোসাইন বলেন, প্রবাসে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে আজহারীর মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাফসির কোরআন উপলক্ষে নিজামিয়া মসজিদের বিশাল এলাকা জুড়ে পুরুষ ও মহিলা, ওজুখানা, টয়লেট, সিসি ক্যামেরা, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়। মাহফিলের মসজিদ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :