আজ (২১ ডিসেম্বর) শনিবার বিকেল ৪টায় বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হয় এই কনসার্ট। চিরকুট ব্যান্ডের পরিবেশনা শেষে এশার আজানের বিরতির পরই মঞ্চে আসেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। আরও ছিলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাত হারানো আতিকুল ইসলাম, মুখমণ্ডল হারানো খোকন চন্দ্র বর্মণ, আন্দোলনে নিহত সৈকতের বোন, মুগ্ধর ভাই সিগ্ধ ও আবু আহনাফের মা।
কনসার্টে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘আজ আমরা কীসের ওপর দিয়ে এই দেশে এখনও আছি তা দেশের সবাই জানেন। যারা এই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত, সবাই জানেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন দিয়ে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল, পরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে সারাদেশের ছাত্র-জনতা এতে অংশ নিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছরে বিভিন্নভাবে আমরা হাসিনার পতনে রাস্তায় নেমেছি। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় সেটা পারিনি। ২৪-এর আন্দোলনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি বলেই তাকে পালাতে বাধ্য করতে পেরেছি। এই আন্দোলন আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নাই।’
মঞ্চে কথা বলেন গণঅভ্যুত্থানে নিহত আহনাফের মা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সন্তানের হত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন তিনি। সরকার পতনের চার মাস পরও কীভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তিনি আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
একুশে সংবাদ//কা.বে//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :