গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে বহু শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীও রয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এবং ৪০০ শিক্ষক নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
গাজার স্কুলগুলোতে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার বেশিরভাগই স্কুলই ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু স্কুল নয়, মসজিদ, বাড়ি-ঘর, আবাসিক ভবন, অফিস, হাসপাতাল কোথাও হামলা চালাতে বাকি রাখেনি ইসরায়েলি সেনারা।
জাতিসংঘ জানিয়েয়ে, গাজার ৭৬ শতাংশেরও বেশি স্কুলকে সম্পূর্ণ পুনর্গঠন বা বড় ধরনের পুনর্বাসনের প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিরা মধ্য গাজা উপত্যকার বুরেইজ এবং নুসেইরাত শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলের নতুন নির্দেশনা আসার পর থেকেই ফিলিস্তিনিরা পালাতে শুরু করেছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার ৮৬ শতাংশ ফিলিস্তিনি বর্তমানে এ ধরনের আদেশের অধীনে রয়েছেন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। দক্ষিণ গাজার দুটি প্রধান শহর রাফাহ এবং খান ইউনিসের আরও ভেতরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক। ইসরায়েলের তাণ্ডবে সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
প্রায় প্রতিদিনই গাজার এখানে সেখানে হামলা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নেই। বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিরা যেখানেই আশ্রয় নিচ্ছেন সেখান থেকেই তাদের পালাতে বাধ্য করছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :