ভারতের কেরালার ওয়েনাড়ে ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ২৮২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কাদামাটি ও পাথরের স্তূপে চাপা পড়ে এখনও নিখোঁজ কমপক্ষে দুই শতাধিক। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এমন খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ভূমিধসের পর থেকেই প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে সেনাবাহিনী, কেরালার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা ও স্থানীয় জনগণ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজারসহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক দিন ধরেই ভারি বর্ষণ হচ্ছে রাজ্যের ওয়েনাড়ে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ভোরে হঠাৎ পার্বত্য এলাকায় ধস নামে। এরপর ঘণ্টার ব্যবধানে আরও পৃথক পৃথক স্থান থেকে ধসের খবর আসতে থাকে। খবর পেয়েই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে বিভিন্ন বাহিনী। যোগ দেয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। কিন্তু বিপর্যয়ের ব্যাপকতা এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়। এতে আটকে পড়া অনেক আহত মানুষ মারা যান। সরেজমিন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পশ্চিমঘাট পর্বতের জঙ্গলঘেরা অন্তত চারটি গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেখানকার বাড়িঘর, বাগান, দোকান সব হাজারো টন পাথর ও কাদার স্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, গত সপ্তাহে গ্রামগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ছিল। মনে হচ্ছে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া কোনো জনপদ খোঁজার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এই পরিস্থিতিতে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। তিনি বলেন, ভূমিধসে চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই, অট্টামালা ও নুলপুঝা গ্রামের হতাহতের সংখ্যা বেশি। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এমন বেদনাদায়ক দৃশ্য আগে কখনও আমরা দেখিনি। বেঁচে যাওয়া সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে। এ ব্যাপারে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করব। নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/ই/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :