ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গত বুধবার ইরানে এক হামলায় নিহত হয়েছেন। সেই হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। সূত্রের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, হানিয়া তেহরানের যে অতিথি ভবনে হামলায় নিহত হয়েছেন সেখানে প্রায় দুই মাস আগে থেকেই বিস্ফোরক পেতে রাখা হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হানিয়া। ওই ভবনে থাকা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সাতজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, তেহরানের গেস্ট হাউসে নিজের কক্ষে হানিয়া আছেন, এটা নিশ্চিত হওয়ার পরই দূর থেকে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই সাত কর্মকর্তার মধ্যে দুইজন ইরানিয়ান ছাড়াও একজন আমেরিকানও রয়েছেন।
ইরানের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস আরও জানায়, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের নেতা জিয়াদ আল-নাখালাহ ইসমাইল হানিয়ার পাশের কক্ষেই অবস্থান করছিলেন। তাদের মতে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই হানিয়াকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। কারণ বিস্ফোরণে তার কক্ষের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। তাই বোঝাই যায় এটা খুব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ওই হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান ও হামাস। যদিও এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। এদিকে এই হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
একুশে সংবাদ/ই/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :