ব্রাজিলের সাও পাওলোতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে থাকার কথা ছিল আরো দুই যাত্রীর। তবে দেরি করে পৌঁছানোয় মিস করেছেন ফ্লাইট। আর তাতেই বাঁচলো প্রাণ। দুই যাত্রীর বিমানে উঠতে না পারার আক্ষেপ এখন পরিণত হয়েছে চরম স্বস্তিতে।
বিধ্বস্ত হওয়া ভোয়েপাসের বিমানটির ৬১ আরোহীর একজনও প্রাণে বাঁচেননি। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর কেউ জীবিত থাকলে সেটি হতো অলৌকিক। ফ্লাইটেই থাকার কথা ছিল আরো দু’জনের। তবে দেরিতে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কারণে তাদের রেখেই উড়ে গেছে বিমান। অনুরোধ, তর্ক, জোরাজুরির পরও প্রবেশ করতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সঠিক সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে না পারাই সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে তাদের জীবনে।
তারা যখন বিমানে উঠতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছিলেন তখনই খবর পান দুর্ঘটনার। দেরিতে প্রবেশে বাঁধা দেয়ায় এবার এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তারা।
বিমানের ফ্লাইট মিস করা যাত্রী অ্যাদ্রিয়ানো অ্যাসিস বলেন, বেলা ১১টার দিকে তারা আমাকে জানায়, আমি এই প্লেনে যেতে পারছি না। কারণ আমি বোর্ডিং টাইম অতিক্রম করে ফেলেছি। তাদের জোর করেও টিকিট রিবুক করতে ব্যর্থ হয়েছিলাম আমি। আমার বর্তমান অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দুর্ঘটনার খবর শোনার পর থেকেই আমি রীতিমতো কাঁপছি।
আরেক যাত্রী বলেন, আমি বিমানবন্দরে পৌঁছে শুনি ভোয়েপাসের বিমানটি ছেড়ে যাচ্ছে। বিমানে চড়ার জন্য আমি একজনের সাথে তর্কও করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে সে আমার জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে। আমি আবারও তার সাথে দেখা করতে চাই।
সূত্র: ডেইলি মেইল
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :