ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিশাল জমায়েত হয় আরজি কর হাসপাতালের সামনে। বিক্ষোভকারীদের অনেকে হাসপাতালের ভেতরেও ঢোকেন। ভিতর থেকে আন্দোলনকারীরা বহিরাগতদের ভেতরে ঢুকতে বারণ করেন। কিন্তু তাদের আটকানো যায়নি। মূল গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তারা।
আন্দোলনকারীরা বহিরাগতদের বারবার বেরিয়ে যেতে অনুরোধ করলেও তারা শোনেননি; ঢুকে পড়েন জোর করেই। পরে ভাঙচুর চালানো হয় শিক্ষার্থীদের ধরনা মঞ্চে। ইমারজেন্সির গেটও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন বহিরাগতরা।
এই বহিরাগত কারা, সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাত দখলের মশাল মিছিল আরজি কর থেকে শ্যামবাজার যাওয়া কথা ছিল, সেই মিছিল থেকেই একদল উন্মত্ত জনতা ‘আমরা বিচার চাই’ স্লোগান দিতে দিতে ভেতরে ঢোকেন। তাদের হাতে রড এবং পাথর ছিল বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরজি করে বহিরাগতদের এই তাণ্ডবের জেরে আতঙ্কে হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পড়ুয়ারা।
আচমকা এ আক্রমণ ঠেকাতে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। এ সময় হামলাকারীদের সামলাতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে উন্মত্ত জনতা আরজি করের দিক থেকে দৌড়ে শ্যামবাজারের দিকে পালায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৩৮ বছরের পুরোনো আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশ থেকে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা বিলোপের লক্ষ্যে বুধবার ভারতের স্বাধীনতা দিবসের রাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ পালনের ঘোষণা দেন দেশটির সাধারণ নাগরিক।
‘মেয়েরা রাত দখল করো’ নামের এ বিক্ষোভ কর্মসূচি ভারতজুড়ে পালন করার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা। আরজি করের পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রচুর ফোর্স নিয়ে দ্রুত কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সেখানে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র: নিউজ১৮বাংলা
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :