ইসরাইলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অস্থিরতা বিরাজ করলেও, সৌদি আরব তেল আবিবের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এজন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যেকোনো মুহূর্তে গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় ক্রোধের আগুন জ্বলছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। এরমধ্যেই তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এটি তার ‘মৃত্যুর কারণ’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
সালমান মিশরীয় নেতা আনোয়ার সাদাতের নজির টেনে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের সামনে নিজের প্রাণশঙ্কার বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। কারণ, একইভাবে ১৯৮১ সালে ইসরাইলের সঙ্গে মিশরের শান্তিচুক্তির জেরে গুপ্তহত্যার শিকার হন মিশরীয় নেতা আনোয়ার সাদাত।
বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই সৌদি-ইসরাইল সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হলেও, গাজায় চলমান বর্বরতার জন্য তা থেমে ছিল। এবার ওয়াশিংটনের সঙ্গে রিয়াদের চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনায় ইসরাইলের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি আছে সৌদি আরব। যুবরাজ সালমান এই চুক্তিকে সৌদির ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন সৌদি যুবরাজ। তবে এবারই তার মধ্যে এত মৃত্যুভয় কেন, এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। অনেকে ধারণা করছেন, যুবরাজ নিজের প্রাণশঙ্কাকে পুঁজি করে যুক্তরাষ্ট্রর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী একটি চুক্তি তৈরী করতে চাচ্ছেন।
তাই, সৌদি ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী এই সম্ভাব্য চুক্তিকে সৌদি যুবরাজের একটি চতুর ‘কূটনৈতিক চাল’ হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :