ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে গত মাসে হত্যার দাবি করে ইসরায়েল। গাজার এই রহস্যময় পুরুষ কী আদৌ বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা জানে না কেউ। ইসরায়েল হত্যার দাবি করলেও এখনো কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি দেইফের মৃত্যু নিয়ে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে স্বাধীনতাকামীদের এ নেতা কী বেঁচে আছেন নাকি আসলেই মারা গেছেন।
গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তারপর ইসরায়েল দেইফের নিহত হওয়ার দাবি করে। তবে দলটির জ্যৈষ্ঠ নেতা দাবি করেন দেইফকে হত্যা করতে পারেনি ইসরায়েল। রহস্যময় এ যোদ্ধা এখনো বেঁচে আছেন এবং গাজাতে থেকেই যুদ্ধ পরিচালনা করছেন।
দেইফের বেঁচে থাকার দাবি করেছেন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ওসামা হামদান। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নেতা জানান, আল কাসসাম ব্রিগেডের প্রধান সুস্থ এবং বেঁচে আছেন। এর আগে ইসরায়েল দাবি করেছিল ১৩ জুলাই খান ইউনুস এলাকায় এ বিমান হামলায় দেইফ নিহত হয়েছেন।
হামদানের মতে, মানবিক এলাকায় হামলায় ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনাকে বৈধতা দিতে ইসরায়েল দেইফের ওপর হামলার গল্প বানিয়েছে। সে হামলায় অন্তত ২৮৯ জন ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়।
দেইফের মৃত্যুর ঘোষণার পর গাজায় হামাসের উপপ্রধান খালিল আল হাইয়া জানান, নেতানিয়াহু একটি নকল বিজয় অর্জন করতে চান। দেইফকে লক্ষ্যবস্তু করার দাবিটি ভুল বলেও জানান এ নেতা। এ সময় দেইফের রক্ত একজন ফিলিস্তিনি শিশুর রক্তের চেয়ে দামি নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে নেতানিয়াহু তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। দেইফ ইসরায়েলের মিথ্যা এ দাবি শুনে হাসছেন।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :