রাজকীয় ক্ষমা পেয়েছেন প্যারোলে থাকা থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা।শনিবার (১৭ আগস্ট) তার আইনজীবী এই তথ্য জানিয়েছেন। থাকসিনের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার একদিন পর তাকে ক্ষমা করা হয়।
২০০৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যান থাকসিন। এরপর গত আগস্টে নাটকীয়ভাবে দেশে ফেরত আসেন। গত ফেব্রুয়ারিতে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। এর আগে, স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে ছয় মাস হাসপাতালে ছিলেন।
তার প্রত্যাবর্তনের পর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বার্থ হাসিলের জন্য সংঘাতের দায়ে থাকসিনকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বরে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন তার সাজা এক বছরে কমিয়েছিলেন।
গত মাসে রাজার জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজকীয় ক্ষমা পাওয়া বন্দিদের মধ্যে অন্যতম থাকসিন। তার আইনজীবী উইনিয়াত চার্টমনট্রি বলেছেন, এই ক্ষমা ‘রোববার কার্যকর হবে।’
উইনিয়াট বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে মঞ্জুর করা প্যারোল চলতি মাসের শেষের দিকে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে রাজকীয় ক্ষমার অংশ হিসেবে সেটি সংক্ষিপ্ত করে রোববার নির্ধারণ করা হয়।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এবং তৃতীয় শিনাওয়াত্রা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন থাকসিনের মেয়ে পায়েংতার্ন সিনাওয়াত্রা (৩৭)। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি।
নৈতিকতা লঙ্ঘনের দায়ে থাকসিনের মিত্র স্রেথা থাভিসিনকে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেছে সাংবিধানিক আদালত।
থাকসিনের ছোটবোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সূত্র: রয়টার্স
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :