থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। তাকে এই পদে অনুমোদন দিয়ে রাজকীয় স্বাক্ষরের পর রোববার (১৮ আগস্ট) দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের তথ্যানযায়ী, রাজধানী ব্যাংককে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজার দেওয়া নিয়োগপত্র পাঠ করেন প্রতিনিধি পরিষদের সেক্রেটারি আপাত সুখানান্দ। আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে রাজার প্রতিকৃতির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে সম্মান প্রদর্শন করেন পেতংতার্ন। এরপর তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে অন্য আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে উন্মুক্ত চিত্তে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব। ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশকে আমরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাব।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রাও (৭৫) উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলে সম্মুখসারিতে পেতংতার্নের স্বামীর পাশে ছিলেন তিনি।
পার্লামেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দুদিন পর থাইল্যান্ডের রাজা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন করেছেন। এরপর থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার শপথ নেন ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন। এর আগে পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। পাশাপাশি তার মন্ত্রিসভা বাতিল করার রায় দেওয়া হয়। স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবী পিচিট চুয়েনবানকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। স্রেথা ও পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির সদস্য।
পেতংতার্নের পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত সবাই অভ্যুত্থানের কারণে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :