টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এসব হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অনেকেই। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্য ইউক্রেনের ক্রিভি রিহ শহরে একটি হোটেলে হামলা হলে দুজন নিহত হয়েছেন। ক্রিভি রিহের পূর্বে জাপোরিঝিয়া শহরে ড্রোন হামলায় দুজন মারা গেছেন।
ইউক্রেনের ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি লিসাক টেলিগ্রামে বলেছেন, ক্রিভি রিহ হোটেলের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো দুজন বেসামরিক নাগরিক আটকা থাকতে পারেন। এই হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ছয়টি দোকান, চারটি উচ্চ ভবন ও আটটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাপোরিঝিয়ায় সোমবার রাতে দুজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই অঞ্চলের গভর্নর ইভান ফেডোরভ। তিনি বলেন, গতকাল রাতে ইরানের তৈরি কামিকাজি ড্রোন শাহেদের হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কিয়েভ অঞ্চলের সামরিক প্রশাসন মেসিজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী শহরকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করার জন্য রাতে বেশ কয়েকবার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার রাতজুড়ে শুরু হওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা সকাল পর্যন্ত চলে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার মিকোলা ওলেশচাক বলেছেন, রাশিয়া রাতভর ১২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০৯টি ড্রোন নিক্ষেপ করে। তবে ইউক্রেন বাহিনী ১০২টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯৯টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
এদিকে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড জানিয়েছে, রুশ হামলার সময় একটি বস্তু তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। পোলিশ সেনাবাহিনীর অপারেশনাল কমান্ডের মুখপাত্র জ্যাসেক গোরিসজেউস্কি বলেছেন, সম্ভবত এটি একটি ড্রোন ছিল। ফ্লাইটের গতিপথ এবং গতি নির্দেশ করে যে এটি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না।
ন্যাটোর মুখপাত্র ফারাহ দাখলাল্লাহ ইউক্রেনে হামলার নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, রাশিয়া কর্তৃক ন্যাটো আকাশসীমা লঙ্ঘন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক।
এর আগে, গত ডিসেম্বরে ইউক্রেনে ১৫৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া, যা তখন সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :