গাড়ির ভেতর গাঁজা রেখে স্ত্রীকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু বিধি বাম! নিজের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে নিজেই এখন কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গাপুরে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাদণ্ড পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম তান জিয়াংলং। তিনি তার স্ত্রীর গাড়ির ভেতরে পেছনের সিটে গোপনে আধা কেজি গাঁজা রেখেছিলেন। চেয়েছিলেন স্ত্রী যেন মাদক মামলায় ফেঁসে যায় এবং তার কঠোর শাস্তি হয়।
কিন্তু ৩৭ বছর বয়সী তান জিয়াংলংয়ের এই পরিকল্পনা সফল হয়নি। তার আগেই পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আদালত তান জিয়াংলংকে তিন বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
২০২১ সালে তান ও তার স্ত্রী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর পরই মতের মিল না হওয়ায় দুজনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। তান চাচ্ছিলেন বিবাহবিচ্ছেদ করে ফেলতে। কিন্তু সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী বিয়ে করার পর তিন বছর অতিবাহিত না হলে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করা যায় না। এ জন্য তান পরিকল্পনা করেছিলেন স্ত্রীকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে সহজেই বিবাহবিচ্ছেদ করবেন।
তান এই পরিকল্পনা করেছিলেন গত বছর। তখনই পরিকল্পনাটির আদ্যোপান্ত তার প্রেমিকাকে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেও ছিলেন। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী,গত ১৬ অক্টোবর একটি টেলিগ্রাম চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে তিনি ৫০০ গ্রাম গাঁজা কেনেন। এরপর গাঁজার পোটলাটি তার স্ত্রীর গাড়িতে রাখতে যান। কিন্তু ভুলে গিয়েছিলেন যে, গাড়িতে গোপন ক্যামেরা রয়েছে।
মুহূর্তে তানের স্ত্রীর কাছে গাড়ি থেকে মেসেজ চলে যায়— তার গাড়িতে ‘পার্কিং ইমপ্যাক্ট’ হয়েছে। এরপর লাইভ ভিডিওতে তানকে গাড়ির আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখেন তিনি। ব্যাপারটা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন তানের স্ত্রী। এরপর পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তানকে।
সিঙ্গাপুরে মাদকদ্রব্য বহনের জন্য কারাদণ্ড এবং মাদক পাচারের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। গত বছরই সিঙ্গাপুর দুইজন মাদক পাচারকারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তানের কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারত। কিন্তু তিনি মামলার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করা এবং দ্রুত দোষ স্বীকার করায় আদালত তার সাজা কমিয়ে তিন বছর ১০ মাস করেছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :