জাপানের ইয়োকোবামা শহরে একটি শপিং সেন্টারের ছাদ থেকে এক কিশোরী আত্মহত্যার জন্য ঝাপ দেন। কিন্তু ওই কিশোরী মাটিতে পড়ার সময় ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা এক পথচারীর ওপরে পড়ে যান। এতে দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে।সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ বছর বয়সী ওই স্কুল শিক্ষার্থী জনবহুল একটি শপিং সেন্টারের ছাদ থেকে আত্মহত্যার জন্য যখন লাফ দেন তখন ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ৩২ বছর বয়সী এক নারীর ওপর পড়েন। গত শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার এক ঘণ্টা পরে ওই কিশোরী মারা যায়। এর কিছু সময় পর ওই নারীও মারা যায়।ওই শিক্ষার্থী কেন আত্মহত্যা করেছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে জাপানের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশটিতে ১৮ বছরের কম বয়সীরা বেশি আত্মহত্যা করে থাকে।
গত বছর জাপানে ৫১৩ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। এসব মৃত্যুর বেশিরভাগ ‘স্কুলে সমস্যার’ কারণে ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়। যে সব ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আর ফিরে যেতে চায় না, তারা জাপানে ফুটোকো নামে পরিচিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী সমীক্ষা অনুসারে, ফুটোকোদের স্কুল এড়ানোর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পারিবারিক পরিস্থিতি, বন্ধুদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যা এবং শাসন। বর্তমানে দেশটির কর্তৃপক্ষ এবং মিডিয়া সংস্থাগুলো বছরের এই সময়ে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করছে।
ইয়োকোহামা শহরে ২০২০ সালেও অনুরূপ একটি ঘটনা ঘটেছিল। ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর ছেলে একটি শপিং সেন্টারের ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার পর ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রীর ওপর পড়ায় দুজনেরই মৃত্যু হয়। সেই সময়ে ছেলেটিকে মরণোত্তর হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। যার অর্থ, ১৭ বছর বয়সী ওই ছেলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ওই ছাত্রীর পরিবারকে। যদিও কিছুক্ষণ পরেই এই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
জাপানের আত্মহত্যার হার এখন সাধারণ জনগণের মধ্যে ধীরে ধীরে কমছে, তবে জাপানের তরুণদের মধ্যে বাড়ছে। জাপানে কিশোর-কিশোরীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ আত্মহত্যা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :