বিশ্বের প্রধান উদীয়মান বাজারের দেশগুলোর গোষ্ঠী ব্রিকসে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জমা দিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) মুখপাত্র ওমের সেলিক বলেছেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট বহুবার বলেছেন, আমরা ব্রিকসের সদস্য হতে চাই। এখন এই প্রক্রিয়া চলছে।’
যদি এ অনুরোধ গৃহীত হয়, তবে তুরস্ক প্রথম ন্যাটো সদস্য দেশ হিসেবে এই গোষ্ঠীতে যোগদান করবে। আংকারা নিজেদের পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক ব্যবস্থার প্রতিকূল হিসেবে দেখে থাকে। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের গোড়ার দিকে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে ব্রিক শব্দটি ব্যবহার শুরু হয়। পরে ২০০৯ সালে এই চারটি দেশ মিলে একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠন করে, যা ব্রিক নামে পরিচিত হয়।
এর এক বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দিলে ব্রিকস তৈরি হয়। সর্বশেষ এই বছরের শুরুতে সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গোষ্ঠীটিতে যোগ দেয়। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে তুরস্ক অংশগ্রহণ করেছিল।
সেলিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে বলেছেন, তুরস্ক ব্রিকসসহ সব গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফরমে অংশ নিতে চায়।’
এর আগে এরদোয়ান শনিবার বলেছিলেন, ‘তুরস্ক একটি শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠতে পারে, সমৃদ্ধ ও সম্মানিত হতে পারে, যদি এটি পূর্ব ও পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্ক একযোগে উন্নত করে।’
এছাড়া গত জুন মাসে তিনি বলেছিলেন, ব্রিকসের সদস্যপদকে অন্যান্য গোষ্ঠীর সদস্যতার বিকল্প হিসেবে তিনি দেখেন না এবং তার দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের প্রার্থী হিসেবে রয়েছে।
তুরস্কের ইইউ সদস্যপদ নিয়ে ২০০৫ সালে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে বিরোধী দলগুলোর ওপর দমন-পীড়নের পর থেকে কোনো আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। পাশাপাশি ইউক্রেনে আক্রমণের পরও রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্ক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :