ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন ১ লাখের বেশি মানুষ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মধ্য ডানপন্থী রাজনীতিবিদ মিশেল বার্নিয়েকে নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভে নেমেছেন তারা। স্থানীয় সময় শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এই বিক্ষোভ হয়েছে। বামপন্থী দলগুলো ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে আইনসভা নির্বাচনে কারচুরির অভিযোগ এনেছে।
একজন রক্ষণশীল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক ব্রেক্সিট আলোচক বার্নিয়েকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রায় দুই মাসের অনিশ্চয়তার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে নিয়োগ দেন তিনি।
বার্নিয়েকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার বামপন্থি দলের নেতা, ইউনিয়ন ও ছাত্র সংগঠনগুলো ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। একইসঙ্গে ১ অক্টোবর সম্ভাব্য ধর্মঘট পালনের ঘোষণাও দেন তারা। এলএফআই পার্টি বলেছে সারা দেশে ১৩০টি বিক্ষোভ হবে।
এদিকে, নিয়োগ পেয়েই জাতীয় ঐক্য সরকার গড়ে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের অঙ্গীকার করেছেন নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে৷সরকার প্রধান হিসেবে প্রথম সাক্ষাত্কারে শুক্রবার রাতে তিনি বলেছিলেন, স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তার সরকারে ম্যাক্রোঁর শিবিরের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং তিনি বামপন্থিদের থেকেও কিছু সদস্য চাচ্ছেন।
অর্থনৈতিক ঘাটতি কমাতে ইউরোপীয় কমিশন ও বন্ড মার্কেটের চাপের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স। তাই বার্নিয়ারের সামনে সংস্কার এবং ২০২৫ সালের বাজেট পরিচালনা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
জনমত জরিপ বিশেষজ্ঞ এলাবে শুক্রবার একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছেন যেটিতে বলা হয়, ৭৪ শতাংশ ফরাসি মনে করছেন, ম্যাক্রোঁ নির্বাচনের ফলাফলকে উপেক্ষা করেছেন। আর ৫৫ শতাংশ মনে করছেন তিনি কারচুপি করেছেন।
ফ্রান্সের আধুনিক রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী হলেন ৭৩ বছর বয়সি বার্নিয়ে৷ তার পূর্বসুরি গার্বিয়েল আটাল ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সি প্রধানমন্ত্রী৷ ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজ দলের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বার্নিয়ে৷ ২৭ বছর বয়সে সংসদ সদস্য হয়ে জাতীয় ও ইউরোপীয় স্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি কর্মরত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :