মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঁচ দিনের ঐতিহাসিক মিশন শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছে স্পেসএক্সের পোলারিস ডন মহাকাশচারীরা। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টা ৩৭ মিনিটে স্পেসএক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুলটি দুই অপেশাদার মহাকাশচারীসহ মোট চার মহাকাশচারীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ড্রাই টর্তুগাস উপকূলে অবতরণ করে।
অপেশাদার ক্রু হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্পেসওয়াক করেন এক ধনকুবের ও এক প্রকৌশলী। মহাশূন্যে অবস্থানকালে মহাকাশযান থেকে বাইরে বের হওয়াকে ‘স্পেসওয়াক’ বলে। বিশ্বের প্রথম বেসরকারি (প্রাইভেট) তথা বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত এই স্পেসওয়াক সম্পাদনকারীরা হলেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যান ও সারাহ গিলিস। এই মিশনের আগে শুধু সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মহাকাশ সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই মহাকাশচারীরা ‘স্পেসওয়াক’ করতেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়নিয়ার ও ৪১ বছর বয়সী জ্যারেড আইজ্যাকম্যান এই মিশনের উদ্যোক্তা ইলেকট্রনিক পেমেন্ট কোম্পানি শিফট ৪-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। অন্যদিকে সারাহ মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের প্রকৌশলী।
জ্যারেড ও সারাহ স্পেসএক্সের ক্যাপসুল (ক্রু ড্রাগন) থেকে বেরিয়ে প্রায় ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ‘স্পেসওয়াক’ করেন। জ্যারেড ও সারাহর পরনে ছিল বিশেষভাবে নকশা করা নতুন পোশাক (স্পেস স্যুট)। তারা প্রায় ১০ মিনিট করে মহাকাশযানের বাইরে কাটান। এসময় অভিযানে অংশ নেয়া বাকি দু’জন ক্যাপসুলের ভেতরেই অবস্থান করছিলেন।
এতদিন কেবল সরকারি উদ্যোগে কঠোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নভোচারীরাই স্পেসওয়াকের জন্য নির্বাচিত হতেন। ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২৭০টি স্পেসওয়াক হয়েছে। আর চীনের তিয়ানগং স্পেস স্টেশনের মাধ্যমে হয়েছে ১৬টি।
সূত্র: বিবিসি
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :