শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির কারণে মিয়ানমারে ব্যাপক বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২২৬ হয়েছে। এর আগে প্রাণহানির সংখ্যা ১১৩ বলা হয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে ছয় লাখ ৩০ হাজার লোকের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে।
সম্প্রতি উত্তর ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমার জুড়ে ইয়াগির তাণ্ডবে প্রচণ্ড বাতাস এবং প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে এসব অঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধস ঘটে।
সোমবার জান্তা-শাসিত মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে ২২৬ জনের প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খবরে ৭৭ জন এখনও নিখোঁজ বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া বন্যায় প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার হেক্টর (ছয় লাখ ৪০ হাজার একর) জমির ধান এবং অন্যান্য ফসল ধ্বংস হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের (ইউএনওসিএইচএ) দুর্যোগ প্রতিরোধ সংস্থা জানিয়েছে, মিয়ানমার জুড়ে প্রায় ছয় লাখ ৩১ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সোমবার সুনির্দিষ্ট বিবরণ না দিয়ে বলেছে, এটি মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা।
এদিকে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে যা খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা। তবে প্রতিবেশী ভারত কেবল এ আবেদনে সাড়া দিয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.ট./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :