লন্ডনের যানজট এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে রোগীর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠাতে এবার ড্রোন ব্যবহার করা হবে। যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের গাইস হাসপাতাল থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছয় মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে তারা এ কাজটি করবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
হাসপাতালটি দক্ষিণ লন্ডনে অবস্থিত। সড়কপথে হাসপাতাল থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষাগারে যেতে আধা ঘণ্টার বেশি থেকে দুই ঘণ্টার কিছু কম সময় লাগে, নির্ভর করে সড়কে যানজটের ওপর। ড্রোনে করে নমুনা পাঠাতে লাগবে দুই মিনিটের কম সময়। গত মাসে পরীক্ষামূলকভাবে একবার ড্রোনে করে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল, নমুনার মান ঠিকঠাকই ছিল।
এই পাইলট প্রকল্প নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের এক কর্মকর্তা সোফি ও’সুলিভান বলেন, এই পাইলট প্রকল্পটি ‘রোগীর রোগ নির্ণয়ের প্রক্রিয়া আরও উন্নত করতে এবং উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত সুবিধা পেতেও’ সহায়তা করবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষামূলক ওই প্রকল্পটি নজরদারি করবে।
স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ কোম্পানি অ্যাপিয়ান এবং ড্রোন কোম্পানি উইং যৌথভাবে এ পাইলট প্রকল্পটি পরিচালনা করবে।
অ্যাপিয়ান যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) প্রকল্পের অংশ। কোম্পানিটি ড্রোনের ব্যবহার করে হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠায়।
এই পাইলট প্রকল্পটি লন্ডনে হাসপাতালগুলোতে ড্রোনের মাধ্যমে বিস্তৃত আকারে চিকিৎসা পরিষেবা সরবরাহের পথ খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রুয়ান্ডার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো থেকে রক্তের নমুনা সরবরাহে কয়েক বছর ধরেই ড্রোনের ব্যবহার হচ্ছে। কানাডা, ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশে একই ধরনের পরীক্ষা করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/জা.নি./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :