বছর দুই আগে কোনো রাজনীতি বা সামরিক নয় বরং ভিন্ন এক কারণে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তি ইরান। যার ফলে নড়বড়ে হয়ে উঠেছিল তৎকালীন সরকারে মসনদ। সে সময় কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মুত্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নেমে আসে ইরানের লাখ লাখ জনতা। ইরানের আইন অনুযায়ী হিজাব না পরার কারণে তাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ আনা হয় দেশটির নীতি পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার হয়তো সে দৃশ্য পাল্টানোর আভাস এসেছে।
বলা হচ্ছে স্থানীয় আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হিজাব না পরার কারণে আর কাউকে হেনস্তা করবে না নীতি পুলিশ। এমনটা জানিয়েছেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, হিজাব আইনের জন্য নারীদের সঙ্গে এখনও পুলিশি হেনস্তার মতো ঘটনা ঘটছে বলে জাতিসংঘের সতর্কবার্তার পর এমন বক্তব্য দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান।
এমন একটি দিনে হিজাব নীতি নিয়ে পুলিশের নমনীয় হওয়ার কথা জানানো হয়েছে যে দিনটি ছিল মাশা আমিনির মৃত্যুবার্ষিকী। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ জানায় ইরান সরকার আন্দোলনের শুরু সময় থেকেই নারীদের অধিকারকে দমন ও যে কোনো পদক্ষেপ ব্যর্থ করতে তীব্র চেষ্টা চালিয়েছে।
তবে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পেজেশকিয়ান জানান, নীতি পুলিশ রাস্তায় নারীদের হিজাব না পরার কারণে আর হেনস্তা করবে না।
এদিন, একজন নারী সাংবাদিক রাস্তায় পুলিশের সাক্ষাৎ এড়াতে ভিন্ন পথ অবলম্বন করে পেজেশকিয়ানের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। এই সাংবাদিক একটি হেড স্কার্ফ পরা ছিলেন এবং তার সামনের কিছু চুল দেখা যাচ্ছিল। এ সময় পেজেশকিয়ান ওই সাংবাদিককে জিজ্ঞেস করেন সে সময় পুলিশ রাস্তায় ছিল কিনা, উত্তরে ওই নারী সাংবাদিক জানান পুলিশ তখনও রাস্তায় ছিল।
পাল্টা জবাবে পেজেশকিয়ান জানান, নীতি পুলিশের সদস্যরা নারীদের মুখোমুখি হওয়ার কথা না। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তা তিনি পর্যবেক্ষণ করবেন বলেও জানান ইরানি প্রেসিডেন্ট।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :