ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজকে ধন্যবাদ জানাতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে যাত্রাবিরতি করবেন।
মাদ্রিদ থেকে এএফপি জানায়, মে মাসে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর এটিই তার প্রথম স্পেন সফর।মাহমুদ আব্বাসের অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে স্পেনের আমন্ত্রণে আব্বাস মাদ্রিদে যাত্রা বিরতি করছেন। সানচেজ বৃহস্পতিবার আব্বাসের সাথে দেখা করবেন।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বুধবার জানিয়েছে, তবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সফরের বাকি কর্মসূচি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।অফিসের কর্মকর্তা জানান, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপেরও আব্বাসকে অভ্যর্থনা জানানোর কথা রয়েছে।
তবে যোগাযোগ করা হলে রাজপ্রাসাদ এই বৈঠকের বিষয়টি এএফপিকে নিশ্চিত করেনি।স্পেন গত ২৮ মে আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের সাথে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের সমন্বয়ে গঠিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর তার এ সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
স্পেনের বামপন্থী সরকার তখন ঘোষণা করে যে বছরের শেষ নাগাদ স্পেন ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি প্রথম দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। স্পেনে প্রথম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত সোমবার স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ‘কারো বিরুদ্ধে নয়, অন্তত ইসরায়েলের’। কিন্তু এ পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যায়।সানচেজ সংঘাতের শুরু থেকেই ইসরাইলের গাজা আক্রমণের সবচেয়ে স্পষ্টবাদী ইউরোপীয় সমালোচকদের অন্যতম। তিনি চলতি মাসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গাজা যুদ্ধের বিষয়ে বৈশ্বিক মঞ্চে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ‘চাপ’ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মে মাসে নেতানিয়াহু ও তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করে।
স্পেন, অন্যান্য দেশগুলির সাথে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় যোগ দিয়েছে। এ মামলায় প্রিটোরিয়া ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তোলে। আমরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করতে যাচ্ছি উল্লেখ করে সানচেজ বলেন, মাদ্রিদ এ বছরের শেষের দিকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে ‘বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করার’ আশা করছে।
গত সপ্তাহে মাদ্রিদ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ও আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে।
সানচেজ সে সময় বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই একটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :