পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের আন্দোলন থামাতে আয়োজিত বৈঠক আবারও ব্যর্থ হয়েছে। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্টভাবে তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় আন্দোলন ও কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। তাঁরা সম্মানজনকভাবে কর্মবিরতি শেষ করতে চান, কিন্তু সরকার এখনও তাঁদের দাবিগুলো পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা তীব্র প্রতিবাদে নেমেছেন। বিশেষ করে কলকাতায় এই আন্দোলন বেশ জোরালোভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল আন্দোলন সমাধানের লক্ষ্যে ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ ও টাস্কফোর্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকের পরও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
এর আগে, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের একটি দল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের আরও কিছু দাবি রয়েছে, যেমন স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ, চিকিৎসকদের জন্য আলাদা বিশ্রাম কক্ষ, শৌচাগার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, সিসিটিভি ক্যামেরা ও ‘প্যানিক বাটন’ স্থাপনসহ নারী নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
এদিকে, আরজি কর ধর্ষণ-হত্যা মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চের তত্ত্বাবধানে এই মামলার চতুর্থ দফার শুনানি হয় এবং আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :