তেভার অঞ্চলসহ রুশ ভূখণ্ডে সম্প্রতি ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সামনের দিনগুলোতে হামলা আরো জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ড্রোন উৎপাদন ১০ গুণ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ার একটি সামরিক-শিল্প কমিশনের বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, চলতি বছর রাশিয়া প্রায় ১৪ লাখ ড্রোন উৎপাদন করবে।
২০২৩ সালে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে বিভিন্ন ধরনের প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, চলতি বছর এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় অর্থাৎ প্রায় ১০ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন ও আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারে যারা এগিয়ে থাকবে তারাই জয়ী হবে বলেও মন্তব্য করেন পুতিন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও তেহরানভিত্তিক পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে এসব ড্রোন ব্যবহৃত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
লোকবল ছাড়াই কম খরচে হামলার কাজে ব্যবহার করা যায় বলে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশই সাম্প্রতিক সময়ে ড্রোন উৎপাদনের দিকে ঝুঁকেছে।
এর আগে রাশিয়ার কামাকাজি ড্রোনের হামলা ঠেকাতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ইউক্রেনকে। ন্যাটোর অভিযোগ ছিলো, ইরানের তৈরি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যদিও তা অস্বীকার করে ইরান-রাশিয়া দুই দেশই।
ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য ইউক্রেন ইসরাইলের দিকে ঝুঁকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো অগ্রগতি নেই।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র কেউই এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে কামাকাজি`র রিরুদ্ধে কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে পারেনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :