বন্যাপরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মমতার সেই দাবি উড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জানানো হয়েছে, পানি ছাড়ার আগে নিয়ম মেনে সমস্ত সতর্কতা পাঠানো হয়েছিল রাজ্যকে। বাঁধের সুরক্ষায় বৃষ্টি হলে পানি ছাড়তেই হবে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে হুগলির পুড়শুড়ায় গিয়ে ‘ম্যান মেড বন্যা’র তত্ত্ব দাঁড় করেছিলেন মমতা। অভিযোগ করেছিলেন- রাজ্যকে কিছু না জানিয়েই পানি ছেড়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)। বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে বলেন, ডিভিসির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করব।
শুক্রবার মমতার বক্তব্য উড়িয়ে জলশক্তি মন্ত্রণালয়ে পক্ষে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জানিয়ে পানি ছাড়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। ডিভিসিতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি রয়েছেন। তার মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে তথ্য পৌঁছে দিয়ে তবেই পানি ছাড়া হয়েছে বাঁধ থেকে।
এতে আরও জানানো হয়েছে, তা ছাড়া ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ ও লাগোয়া ছোটনাগপুরের মালভূমিতে ভারি বৃষ্টি হবে বলে আগে থেকে জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তনের ধরণ সম্পর্কেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। বৃষ্টি হলে বাঁধ রক্ষা করতে গেলে পানি ছাড়তে হবেই।
তবে তেনুঘাট জলাধার থেকে পানি ছাড়ার দায় নিতে অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তেনুঘাট জলাধার থেকে যে ৮৫ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে তার সঙ্গে ডিভিসির কোনো সম্পর্ক নেই। ওই জলাধার ঝাড়খণ্ড সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। জলাধারটিকে বারবার ডিভিসিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ঝাড়খণ্ড সরকারকে অনুরোধ করা হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি।
একুশে সংবাদ/যু/সাএ
আপনার মতামত লিখুন :