অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার ৪৫ দিনের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেবেন। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ নির্বাচনে নিজ নীতির পক্ষে এক নতুন সমর্থন আদায় করতে চান তিনি। ভেঙে দেওয়া ২২৫ সদস্যের সংসদে অনূঢ়া কুমারার নির্বাচনী জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) মাত্র তিনটি আসন ছিল।
সরকারি গেজেটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ১৪ নভেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মিত্র হরিনি আমারাসুরিয়াকে বাছাই করেছেন। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে তিনিই হলেন তৃতীয় কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনে (২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন) মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত আরেকটি নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেতা কোনো রাজনীতিবিদের জন্যই এক স্মরণীয় ঘটনা।
গত শনিবার শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘জনগণের চাহিদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, এমন সংসদ চালিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে তাঁর দুর্নীতিবিরোধী ও দারিদ্র্য বিমোচন–সহায়ক নীতিতে ক্রমবর্ধমান সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয় তাঁর জোট। ২০২২ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করে পালানোর পর এটিই ছিল দেশে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচন।
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব ও আইনপ্রণেতাদের মধ্য থেকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন প্রেসিডেন্টের সহকারী হিসেবে এবং ক্ষমতাসীন দলেরও নেতৃত্ব দেন তিনি।
অনূঢ়া গত সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কিছু আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন দিনেশ গুনাবর্ধনে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়া আমারাসুরিয়া সংসদে এনপিপি জোটের তিন আইনপ্রণেতার একজন ছিলেন।
একুশে সংবাদ/প.আ./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :