বুধবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই। বহু রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে অন্যতম প্রধান এই শহরটির। ফলে রাজধানীর অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয় প্রবল যানজটের, যার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এরই মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে অন্তত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, আন্ধেরি ইস্টের নূলাহ এলাকায় খোলা ড্রেনে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ৪৫ বছর বয়সী নারী বিমল গায়কোয়ার, কল্যাণ শহরতলীর ভারাপ গ্রামে বজ্রবিদ্যুতে মৃত্যু হয়েছে দুজনের, খোপোলি এলাকায় ওয়াটারফলের কাছে পানিতে ডুবে আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত মুম্বাইয়ের একাধিক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে জানা গেছে, পাওয়াই এলাকায় ২৩৪ মিলিমিটার, ঘাটকোপার ২৫৯ মিলিমিটার, মানখুর্ড ২৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেটা এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এই ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মুম্বাইয়ে মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি একাধিক জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, বিপর্যস্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা, ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন (মধ্য রেল) পরিষেবা, যদিও পশ্চিম রেল পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে, বিমান চলাচলেও সাময়িক প্রভাব পড়েছে, ১৪ বিমানের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুম্বাইয়ের মুমব্রা বাইপাস রোড এলাকায় ধসের সৃষ্টি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের অফিসার স্বপ্নীল সার্নবাথ জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর কোষে রাস্তার উপরে চলে আসে। বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ আমরা এই ঘটনার খবর পাই। যদিও ওই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত হতাহাতের কোন খবর নেই। তবে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, পুনেতে মাত্র তিন ঘণ্টার বৃষ্টি গত ৮৬ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বুধবার শিবাজি নগরে ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর বেশিরভাগটাই হয়েছে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত- মাত্র তিন ঘন্টার সময়কালে। বৃহস্পতিবার সেই বৃষ্টির মাত্রা ১৩২.৩ মিলিমিটার ছুঁতে পারে।
বুধবার ভারতের আবহাওয়া দফতর মুম্বাইয়ে হলুদ সর্তকতা জারি করেছিল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত মুম্বাই, রায়গড় এবং থানেতে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরেই ভারে বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টিপাত, ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :