AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বসনিয়াতে বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১:০৪ পিএম, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
বসনিয়াতে বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু

দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান অঞ্চলের দেশ বসনিয়া-হের্জেগোভিনার মধ্যাঞ্চলে হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে উদ্ধার কর্মীরা ডোনিয়া ইয়াব্লানিচ্ছা গ্রামের ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে নিখোঁজ লোকজনের খোঁজ শুরু করেন।

শুক্রবার বলকান দেশটি কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্যার কবলে পড়ে। এতে অনেকগুলো শহর ও গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বহু ঘরবাড়ি পুরোপুরি ডুবে যায়।শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হের্জেগোভিনা-নেরেতভা প্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা ডার্কো ইউকা জানান, সব তথ্য সংকলনা করার পর ইয়াব্লানিচ্ছা এলাকায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকার সিদ্ধান্তে এসেছে।

এর আগে একইদিন এনআই টেলিশিভন জানিয়েছিল, ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।ইয়াব্লানিচ্ছা এলাকাটি রাজধানী সারায়েভো থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে। এখানে বেশ কয়েকজনের জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুক্রবার ইউকা জানিয়েছিলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, একটি এক্সকেভেটর দিয়ে গাড়ি ও বাড়িগুলোর ওপর থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানো হয়, ভেতরে জীবিত কেউ আছেন কি না উদ্ধারকারীরা পাশ থেকে দেখার চেষ্টা করছিলেন।কাছেই একটি বাড়িতে বোনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা আলকা গ্লুজিক (৭৪) তার এক ভাই ও পরিবারের আরো তিন সদস্যকে হারিয়েছেন।কান্নারত গ্লুজিক বলেন, ‘ভাইয়ের বাড়িটি বন্যায় ভেসে গেছে। ওই বাড়ির কেউ বেঁচে নেই।’

বসনিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টির কারণে রাতে উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে সকালে বৃষ্টি থামার পরপরই উদ্ধারকাজ ফের শুরু করা হয়। ডোনিয়া ইয়াব্লানিচ্ছার বহু বাড়ি এখনও পানিতে তলিয়ে আছে।নেজিমা বেগোভিট (৬২) ভাগ্যবান। কারণ তার বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি অক্ষত অবস্থায় বের হয়ে আসতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি লোকজনের চিৎকার শুনছিলাম, কিন্তু হঠাৎ সব নিশ্চুপ হয়ে গেল। তখন আমি বললাম, সেখানে সবাই মারা গেছে।’

শুক্রবার হড়কা বানের কারণে ডোনিয়া ইয়াব্লানিচ্ছার উপরের দিকে থাকা পাথরের খনি ধসে পড়ে আর পাথর ও আবর্জনায় গ্রামের বাড়ি ও গাড়িগুলো চাপা পড়ে।

ইনেস ইমামোভিচ (৬৬) জানান, শুক্রবার ভোর প্রায় ৫টার দিকে বিকট শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়।‘খনির পাথর ও ধূলায় সবকিছু সাদা হয়ে যায়। আমার বন্ধুর বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। অনেক চিৎকার শুনেছি,’ বলেন তিনি।

এই বন্যার আগে পুরো বলকান অঞ্চলজুড়ে ও ইউরোপের অধিকাংশ এলাকায় নজিরবিহীন গ্রীষ্মকালীন খরা চলেছে। বহু নদী ও হ্রদ শুকিয়ে যায়। এতে কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয় ও বলকান অঞ্চলের শহরগুলোতে পানির অভাব দেখা দেয়।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আবহাওয়ার এসব চরম পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষণ হতে পারে।



একুশে সংবাদ/ এস কে 

Link copied!