স্থলভাগে আছড়ে পড়ার (ল্যান্ডফল) প্রক্রিয়া শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার আগে শেষ করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাত ১২টা ১০ মিনিটে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি। ওড়িশার ভিতারকণিকার কেন্দ্রপাড়া জেলা এবং ধামরার ভাদ্রাক জেলার মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়ে সামুদ্রিক ঝড়টি। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়ে ঝড়টি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এটি কোন কোন পথে এগোচ্ছে, তা জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়টির টেইল বা শেষাংশ স্থলভাগে প্রবেশ করে। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হয় দুপুর ১২টার আগে।
ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) ভুবনেশ্বরের আঞ্চলিক পরিচালক মনোরমা মহান্তির বরাতে জানা গেছে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভূমিতে আঘাতের প্রক্রিয়া (ল্যান্ডফল) চলবে, এরপর ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে ধেনকানাল ও আঙ্গুল জেলার দিকে বাঁক নেবে। তবে কেওনঝড়ের দিকে এগোবে না। এখনও ঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে ঝাড়খন্ড ও কোলহান অঞ্চলে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র বা চোখ স্থলভাগে পৌঁছানো পর বাতাসের গতি বেড়ে ঘণ্টায় ১২০ কিমি হয়ে যায়। ভূমিতে আঘাতের প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। এই সিস্টেমটি পারাদ্বীপের `ডপলার ওয়েদার রাডার`-এর মাধ্যমে দ্বারা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
ঝড়ের প্রভাবে রাত থেকেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে চলতে থাকে তাণ্ডব। তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ঝরে অবিরাম বৃষ্টি।
সকাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবারে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় ৬৪ মিলিমিটার, দীঘায় ৩৭ মিলিমিটার, হলদিয়ায় ৬০ মিলিমিটার। এছাড়া ওড়িশার চাঁদবালিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪২.৬০ মিলিমিটার, ভুবনেশ্বরে ২০.৪০ মিলিমিটার, বালেশ্বরে ৪৪.৮০ মিলিমিটার এবং পারাদ্বীপে ৭৫.৯০ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রবল সামুদ্রিক ঝড় বা সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম ‘দানা’ এখন ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এখনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :