গাজা-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর এবার মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে আশায় বুক বেধেছেন গাজা এবং ইসরাইলের বাসিন্দারা। নির্বাচনের পর অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে মনে করছেন ইসরাইলিরা। যদিও গাজাবাসীর মন থেকে কাটছে না সন্দেহের মেঘ। তবে দুই দেশের মানুষেরই প্রত্যাশা, নতুন প্রেসিডেন্ট ইতি টানবেন এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের।
গাজা সংঘাতের এক বছর পার হলেও মিলছে না যুদ্ধ বন্ধের কোনো ইঙ্গিত। এরমধ্যেই, বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস এবং ইসরাইলকে ঐক্যমতে আনার চেষ্টা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে, তা সফল হয়নি। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধের ইতি টানতে পারবেন কি না, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা এবং দখলদার ইসরাইল, দুই দেশের নাগরিকরা তাই তাকিয়ে আছেন নির্বাচনের দিকে।
যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরাইলকে একতরফা সমর্থন দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। অস্ত্র এবং আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে দেশটিকে। তবে, এবার যুদ্ধের ইতি টানতে চান সাধারণ মানুষ। তাই, বেশিরভাগ ইসরাইলি ঝুঁকছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় এবং বন্দিমুক্তিতে ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে ধারণা করছেন অনেকেই। তারা বলছেন, ‘আগেরবার যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ছিলেন তখন তিনি ইসরাইলকে অনেক সাহায্য করেছেন। বিশেষ করে জেরুজালেম এবং গোলান মালভূমির বিষয়ে। তাই, আমরা বেশিরভাগই চাই ট্রাম্প ক্ষময়ায় আসুক।’
ইসরাইলিরা যেখানে ট্রাম্প নাকি কমলা দ্বন্দ্বে বিভক্ত, গাজাবাসী সেখানে সন্দিহান যে আদৌ মার্কিন নির্বাচন তাদের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে কিনা। তবে কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, নতুন প্রেসিডেন্ট অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে রক্তপাত বন্ধ করবেন।
আবার অনেকের মতে, মার্কিন নির্বাচনে ইসরাইলিদের লাভ হলেও, গাজাবাসীর পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন আসবে না। বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের কোনো প্রভাব আমাদের ওপর পড়বে বলে আমি মনে হয় না। গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং নিরপরাধ নারী, শিশু, বৃদ্ধদের হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সহযোগী।’
যিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না কেন, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে কতটুকু কার্যকর হবে, তা বলা মুশকিল। তবে, নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দলীয় দুই নেতা যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করলেও, দু’জনই ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছেন। তাই, এই নির্বাচন ফিলিস্তিনিদের জীবনে খুব একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে না বলে ধারণা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :