পূর্ব ইন্দোনেশিয়ায় একটি আগ্নেয়গিরি শনিবারআবার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নয় কিলোমিটার (পাঁচ মাইলেরও বেশি) এলাকা জুড়ে বিশাল ছাইয়ের স্তম্ভ আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগের অগ্ন্যুৎপাতে নয় জনের মৃত্যু এবং হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছিল। ইন্দোনেশিয়ার ইস্ট ফ্লোরেস থেকে এএফপি এখবর জানায়।
ফ্লোরেসের পর্যটন দ্বীপে ১,৭০৩-মিটার (৫,৫৮৭-ফুট) জোড়া-শিখরযুক্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরিতে এই সপ্তাহে এক ডজনেরও বেশি বার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে, সোমবার এর প্রাথমিক বিস্ফোরণে নয়জন মারা গেছে।
দেশটির আগ্নেয়গিরি সংস্থা স্থানীয় সময় ০৪:৪৭ (২০৪৭ জিএমটি) থেকে শুরু হওয়া অগ্ন্যুৎপাত সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শৃঙ্গের প্রায় ৯,০০০ মিটার উপরে ছাইয়ের স্তম্ভটি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি তীব্রতার সাথে ঘন ধূসর বর্ণের ছিল।’
শনিবারের নতুন অগ্ন্যুৎপাত থেকে আশেপাশের গ্রামে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।তবে সংস্থাটি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাসিন্দাদের ‘ঠান্ডা লাভা বন্যার আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে’ বলেছে।
শুক্রবার আরেকটি বিশাল অগ্ন্যুৎপাত কাছাকাছি একটি মনিটরিং পোস্টের কর্মকর্তাদের ছাই এবং ছোট পাথর বৃষ্টির কারণে সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছিল।
বৃহস্পতিবার পর্বতটি আট কিলোমিটার উঁচু একটি ছাইয়ের স্তম্ভ তৈরি করে, স্থানীয়রা জানায়, এটি ছিল তাদের দেখা সবচেয়ে বড় ছাইয়ের স্তম্ভ।
১০,০০০ এরও বেশি মানুষ অগ্ন্যুৎপাতের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, কর্মকর্তারা স্থানীয়দেরকে আট কিলোমিটার অঞ্চল থেকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করতে বলেছে।ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান বলেছেন, নতুন বাড়ি তৈরির সময় কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের অস্থায়ীভাবে বাড়ি এবং তহবিল দেবে।
শুক্রবার একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সুহারিয়ন্তো বলেছেন, ‘যেহেতু স্থানান্তরের প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় সময় লাগে, আমরা আশা করি আমরা দ্রুত সেগুলো তৈরি করতে পারব।’
ইন্দোনেশিয়া একটি বিস্তীর্ণ দ্বীপপুঞ্জের দেশ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে দেশটি ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :