আগামী ১৩ নভেম্বর ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে আলোচনার অন্যতম প্রধান ইস্যু বাংলাদেশিদের কথিত অনুপ্রবেশ। নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অর্থ পাচার রুখতে ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্ত সংস্থার ঝাড়খণ্ড অফিস মঙ্গলবার দুই প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৭টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ডে কিছু বাংলাদেশি নারীর অনুপ্রবেশ এবং পাচারের ঘটনায় ইডি প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে মঙ্গলবার একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
সূত্র বলছে, ওই মামলার প্রেক্ষিতেই ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় তল্লাশি শুরু করে ইডি। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ, ব্যারাকপুরসহ আরও একাধিক জেলায় চলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী আছে। তারা রাজ্য সরকারকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশে সহায়তা করার অভিযোগ করেছেন।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতাসীন জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডকে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘ধর্মশালায়’ রূপান্তরিত করার অভিযোগ করেছেন।
একই দিন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক সমাবেশে ঘোষণা করেছেন, বিজেপি ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় আসলে দখল হয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের ৮১ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ দুই দফায় আগামী ১৩ ও ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর। এই নির্বাচনে জিততে মরিয়া বিজেপি। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই মোদি-অমিত শাহ’র বিজেপি ঝাড়খণ্ডে তথাকথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :