মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে হামলা চালাতে পারবে ইউক্রেন— এমন অনুমতিই দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রায় তিন বছর ধরে এই যুদ্ধ চললেও এতদিন মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে দেননি বাইডেন। কিন্তু নিজের ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে অনুমতি দিলেন তিনি।
ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কয়েক দিন আগে উত্তর কোরিয়া সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই অনুমতি দেওয়া হলো। তবে মার্কিন মিসাইল ব্যবহার করে ইউক্রেন যদি রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালায় তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে বলে হুমকি দিয়েছেন রুশ আইনপ্রণেতা আন্দ্রেই ক্লিসাস।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন রাশিয়ায় দূরপাল্লার হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। আর এ জন্য দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করতে চায়। রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে প্রথম হামলা সম্ভবত এটিএসিএমএস রকেট দিয়ে চালানো হবে। এসব রকেট ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। যে বিষয়ে এতদিন অনুমতি দেয়নি ওয়াশিংটন। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
অন্যদিকে, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে রুশ আইনপ্রণেতা আন্দ্রেই ক্লিসাস লিখেছেন, পশ্চিমারা উত্তেজনা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেখানে সকালের মধ্যে ইউক্রেন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে। ইউক্রেন যে-ই যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার মিসাইল দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাবে তার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালানো হবে। এক্ষেত্রে কোনো দেরি করা হবে না। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে এটি বড় ধাপ।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতায় বসে ইউক্রেনকে দেওয়া বাইডেন প্রশাসনের এই অনুমতি বাতিল করবেন কি না, সেটি স্পষ্ট নয়। তবে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই বলে রেখেছিলেন, তিনি সবার আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :