পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সহিংসতাপূর্ণ প্রদেশ বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একটি নতুন সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। এই অঞ্চলটি চীনের গুরুত্বপূর্ণ বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পগুলোর কেন্দ্রবিন্দু। তবে এই পরিকল্পনা চীনের সঙ্গে যৌথভাবে বাস্তবায়িত হবে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে চীনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে একাধিক প্রাণঘাতী হামলার জেরে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যৌথ প্রচেষ্টায় অংশ নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বেইজিং।মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পাকিস্তানে যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী মহড়ার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছে চীন।
মঙ্গলবার দেশের বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেখানে সমন্বিত এই অভিযান চালানোর অনুমোদন দেয়া হয় বলে তার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। তবে বিবৃতিতে এই অভিযান শুধু পদাতিক বাহিনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি বিমান বাহিনীকেও রাখা হবে, সেটা বলা হয়নি। এ ছাড়া চীনের অসন্তোষের কারণে এমন অভিযানে নামা হচ্ছে কিনা, সেটাও বলেনি।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সামরিক বাহিনীর কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো জবাব দেয়নি।
বেলুচিস্তান প্রদেশে কয়েক দশক ধরে একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে বিএলএ এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এই অঞ্চলটি আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তে অবস্থিত এবং সেখানে চীনের নির্মিত গাদার বন্দর রয়েছে। এটি চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি)-এর একটি অংশ। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় ৬৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বিনিয়োগ প্রকল্প। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো সড়ক, রেল ও সমুদ্রপথে চীনের বৈশ্বিক প্রভাব বিস্তার করা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :