চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার ব্রাজিলে রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের ধোঁয়াসায় অনুষ্ঠিত জি২০ ও এপেক গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলনের পর শি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা নতুন করে বৈঠক করতে যাচ্ছেন। ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
শি বলেন, মঙ্গলবার রিওতে সদ্য সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক লুলা দা সিলভার সাথে বৈঠকে ব্রাসিলিয়ার সাথে সম্পর্ক ‘আরো বাড়ানোর’ প্রয়াস পাবেন। এই দ্বিপক্ষীয় প্রচেষ্টা এমন এক সময় এসেছে, যখন চীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরবর্তি মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। যা শি’কে তাইওয়ানের বাণিজ্য ইস্যুতে উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টায় ধাবিত করেছে।
২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ট্রাম্প। তিনি চীনা পণ্য আমদানিতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের হুমকি দিয়ে বেইজিংয়ের প্রতি সংঘাতমূলক মনোভাবের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তাকালে নিজেদেরকে গ্লোবাল সাউথের নেতা হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছে চীন ও ব্রাজিল। শি তার সফরের আগে ব্রাজিলিয়ান মিডিয়ায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘গ্লোবাল সাউথে সম্মিলিতভাবে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ চীন ও ব্রাজিল উভয়ই ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে।
চীন সামগ্রিকভাবে ব্রাজিলের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। গত বছর দ্বিমুখী বাণিজ্য ১৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, শি লুলা বৈঠকে ‘চীন-ব্রাজিল সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি, দুই দেশের উন্নয়ন কৌশল, অভিন্ন স্বার্থের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যু সমন্বয় প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
দক্ষিণ আমেরিকার কৃষি শক্তি ব্রাজিল প্রধানত সয়াবিন ও অন্যান্য প্রাথমিক পণ্য চীনে পাঠায়। এশিয়ান জায়ান্ট চীন সেমিকন্ডাক্টর, টেলিফোন, যানবাহন ও ওষুধ বিক্রি করে।
গত বছর ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে, লুলা চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সাথে সম্পর্ক উন্নত ও ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :