যুক্তরাজ্যের তৈরি স্টর্ম শ্যাডো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের একদিন পরেই যুক্তরাজ্যের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালালো কিয়েভ। রাশিয়ান মিলিটারি ব্লগ ও রয়টার্সের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার রাশিয়ায় মার্কিন তৈরি ‘আর্মি ট্যাকটিকেল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস নামে পরিচিত) ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইউক্রেন। এর একদিন পর বুধবার ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতরে ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া ব্রিটিশ মিডিয়াতেও রাশিয়ায় যুক্তরাজ্যের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের হামলার তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুস্তেম ইউমেরভ এই তথ্য নিশ্চিতও করেলনি আবার অস্বীকারও করেননি।
ব্রিটিশ তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানো হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্ন করা হলে গতকাল রুস্তেম বলেছেন, আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবকিছু ব্যবহার করব। আমরা বিস্তারিত কিছু বলব না কিন্তু আমরা যা দিয়ে জবাব দিতে সক্ষম তা আমরা পাঠাচ্ছি।
এর আগে বুধবার রাশিয়ার একজন মিলিটারি ব্লগার বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে কিছু ছবি পোস্ট করেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। তবে এসব হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে- সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ১০০১ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :