পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আগামী ২৪ নভেম্বর দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তাদের এই বিক্ষোভ ঠেকাতে এরই মধ্যে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছে দেশটির সরকার। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ঢোকার রাস্তাগুলো কন্টেইনার দিয়ে বন্ধ করার প্রস্তুতি চলছে। বিক্ষোভের আগে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও।
সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, পিটিআই’র ২৪ নভেম্বরের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে রাওয়ালপিন্ডিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের ৫০টি পয়েন্ট অবরুদ্ধ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, যাতে পিটিআই কর্মীরা রাজধানী ইসলামাবাদে প্রবেশ করতে না পারেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ৫০টি প্রবেশপথে পণ্যবাহী কন্টেইনার, ব্লেডযুক্ত তার ও কাঁটাতার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিক্ষোভ ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ও এলিট ফোর্স মোতায়েন থাকবে। কোনো অবস্থাতেই কাউকে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নাগরিকদের জানমাল রক্ষায় ‘অসাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ নেয়া হবে। তবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে জলকামান ও রাবার বুলেট ব্যবহারের ঝুঁকি এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডন জানিয়েছে, পিটিআই নেতাকর্মীদের দমনে মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এরই মধ্যে ৩০ জনের বেশি কর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ আশঙ্কা করছে, বিক্ষোভকারীরা অস্ত্র নিয়ে আসতে পারে।
দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ২৪ নভেম্বরের বিক্ষোভ ঘিরে ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার পরিকল্পনা চলছে। ২২ নভেম্বর থেকেই ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটির (পিটিএ) সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া, রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি করে জনসমাবেশ, মিছিল এবং চারজনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পিটিআই জানিয়েছে, তাদের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো বাতিল করা হলে তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত। দলটি ইমরান খানের মুক্তি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে তাকে পেশোয়ার কারাগারে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :