তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার সিরিয়ায় ‘দ্রুত ছড়িয়ে পড়া’ সংঘাত সম্পর্কে কথা বলেছেন। সিরিয়ার একটি বড় অঞ্চল বিদ্রোহী বাহিনী দখল করে নিয়েছে। ইস্তান্বুল থেকে এএফপি এখবর জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্লিঙ্কেন ও ফিদানের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে। ‘আলেপ্পো ও অন্যান্য এলাকায় বেসামরিক মানুষ ও অবকাঠামো রক্ষার ওপর জোর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার’ ব্যাপারে তারা আলোচনা করেছেন।
সিরিয়ার বিদ্রোহী ও তাদের তুর্কি-সমর্থিত মিত্ররা কয়েক বছরের মধ্যে বৃহত্তম আক্রমণ শুরু করার পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর কাছ থেকে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর এই আহ্বান জানানো হলো।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ফিদান ও ব্লিঙ্কেনের ফোনালাপকালে ফিদানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, আঙ্কারা ‘এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়তে পারে, এমন যে কোনো ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে’ এবং তুরস্ক ‘সিরিয়ায় উত্তেজনা কমানোর পদক্ষেপকে সমর্থন করবে’।
এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, আঙ্কারা ‘তুরস্কের বিরুদ্ধে বা সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কখনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেবে না’।
সিরিয়ায় শান্তি নিশ্চিত করতে ‘শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা উচিত’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষনকারী সংস্থা জানিয়েছে, তুর্কিপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে আলেপ্পো ও এর আশপাশে সরকারি বাহিনী ও কুর্দি পিপলস ডিফেন্স ইউনিট (ওয়াইপিজি) যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালাতে দেখা গেছে।
তুরস্ক ওয়াইপিজিকে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)’র একটি শাখা হিসেবে দেখে। এটি আঙ্কারার বিরুদ্ধে এক দশক ধরে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বুধবার সিরিয়ায় আক্রমণ শুরু হয়। একই দিন ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সিরিয়ার একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষনকারী সংস্থা জানিয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই যোদ্ধা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :