সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর পর এবার গুরুত্বপূর্ণ শহর হামারও দখলে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহীরা।বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) শহরটি থেকে সরকারি বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারের পর এই ঘোষণা দিয়েছে তারা। এতে করে অল্প সময়ের ব্যবধানে গুরুত্বপূর্ণ দুই শহর হারালো দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এ নিয়ে বড় ধরনের চাপের মুখে রয়েছেন তিনি ও তার মিত্র দেশ রাশিয়া ও ইরান।
সংবাদমাধ্য বিবিসি জানিয়েছে, এদিন বিকেলে হামার নিয়ন্ত্রণ হারানোর কথা স্বীকার করে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। আলেপ্পো ও রাজধানী দামেস্কের মধ্যে অবস্থিত কৌশলগতভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হামা।
গত সপ্তাহে দ্রুতগতিতে হামলা চালিয়ে আলেপ্পো দখল করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও তার মিত্ররা। আলেপ্পো দখলের পর বিদ্রোহীরা মধ্যাঞ্চলের হামা শহরের দিকে যাত্রা শুরু করেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বুধবার রাতে হামা শহরে আসার পথে বিভিন্ন সড়কে আসাদ বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ হয়।
হামার কেন্দ্রীয় কারাগার নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিদ্রোহীরা।হামার দখল হারানোকে ‘সিরিয়া সরকারের জন্য একটি বিশাল ও ব্যাপক ধাক্কা’ বলে অভিহিত করেছেন থিংক-ট্যাংক সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের এক গবেষক অ্যারন লুন্দ। কেননা, তিনি মনে করেন, সেখানে সেনাবাহিনী থেকে গেলে বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা ঠেকানো সহজ হতো। তবে ‘তারা সেটি পারেনি’।
এক ভিডিও বার্তায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেন, সিরিয়া ৪০ ধরে যে ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে তা দূর করতে তার যোদ্ধারা হামায় ঢুকেছেন। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ১৯৮২ সালের মুসলিম ব্রাদারহুডকে দমনের নামে যে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল সেটিরই ইঙ্গিত দেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :