দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বৃহস্পতিবার সামরিক আইন জারি এবং দেশটির পার্লামেন্টে সেনা মোতায়েনের হঠকারি সিদ্ধান্তকে রক্ষা করে এক বিদ্রোহী ভাষণে ‘শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইউন বলেছেন, ‘জনগণকে সাথে নিয়ে আমি শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি।
শনিবার পার্লামেন্টে আবারো অভিশংসনের মুখোমুখি ইউন ভাষণে বরেছেন, ‘আমি আবারো ক্ষমাপ্রার্থী সেই সমস্ত লোকদের কাছে যারা সামরিক আইনের কারণে বিস্মিত এবং উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের প্রতি আমার উষ্ণ আনুগত্যে আমাকে বিশ্বাস করুন।’
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইন প্রণেতা জো সেউং-লে এএফপি’কে বলেছেন, শনিবার অভিশংসন ভোট বিকেল ৫টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে আবারো ইমপীচ করার জন্য দেশব্যাপী সাধারণ জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
গতকাল এবং আজও সিউলের প্রধান প্রধান সড়কে সাধারণ জনগণের সাথে প্রধান বিরোধী উত্তর কোরীয় পন্থী ডেমোক্র্যাটিক পাটির সমর্থকসহ আইনপ্রণেতারা প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নেয়।
প্রেসিডেন্টকে ইমপীচ করতে হলে ক্ষমতাসীন দলের আট সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হবে। এদিকে ক্ষমতাসীন লিবারেল পিপলস পার্টির নেতা হান ডং-হুন দলের সদস্যদের সভায় উপস্থিত থাকার এবং ‘তাদের বিশ্বাস ও বিবেক অনুযায়ী’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষীদের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেয়। কিন্তু পরে বলেছে, প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরা সামরিক আইন জারির ‘খুব সীমিত নথিপত্র’ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ইউন বৃহস্পতিবার বিরোধীরা দেশকে একটি ‘জাতীয় সঙ্কটে’ মধ্যে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সামরিক আইন জারির ঘোষণার বিষয়ে আইনি ও রাজনৈতিক দায়িত্ব এড়িয়ে যাবে না।’
এদিকে পিপিপি বলেছে, ইউনের পদত্যাগের অপেক্ষায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু এবং দলীয় প্রধান হারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :