দীর্ঘ ৫৫ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলো না রাজস্থানের দৌসায় গভীর কুয়োয় পড়ে যাওয়া পাঁচ বছরের শিশুকে। বুধবার শিশুটিকে ১৫০ ফুট গভীর ওই কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
২০০৬ সালে হরিয়ানায় ৬০ ফুট গভীর পরিত্যক্ত নলকূপে টানা দু`দিন বন্দি ছিল তৎকালীন বছর পাঁচেকের প্রিন্স। পরে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। শুধু প্রিন্স নয়,কয়েক বছর আগে ছত্তিশগড়ের পিহরিদ গ্রামে ৮০ ফুট একটি কুয়ায় পড়ে যায় ১১ বছরের রাহুল সাহু। ১১০ ঘণ্টার চেষ্টায় তাকেও জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। অতীতের এই উদাহরণগুলো দেখেই আশায় বুক বাঁধছিল শিশুর পরিবার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আরিয়ানের মৃত্যুর খবর সামনে আসার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তারা।
গত সোমবার বেলা ৩টার দিকে খেলতে গিয়ে ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায় দৌসার শিশু আরিয়ান। পরিবার তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেয়। এক ঘণ্টা পরে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আরিয়ানকে উদ্ধার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। পাইপের মাধ্যমে তার কাছে পাঠানো হয় অক্সিজেন। পাশাপাশি ওই গভীর কূপের ভেতরে তার উপর নজরদারি চালানোর জন্য একটি ক্যামেরাও নীচে পাঠানো হয়। কুয়োটির পাশে সমান্তরালভাবে গর্ত খুঁড়ে তার কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা হয়।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা যৌথভাবে ওই শিশুটিকে উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। উদ্ধার কাজ চলার সময়েই ড্রিলিং মেশিন খারাপ হয়ে যায়। পরে নতুন মেশিন এনে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কুয়োটিতে ১৬০ ফুট জল ছিল। সব মিলিয়ে পদে পদে আসছিল প্রতিকূলতা।
বেগতিক বুঝে দড়ি দিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। বুধবার রাতে অচৈতন্য অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু এতো চেষ্টার পরেও শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ওই শিশুটির ২ বার ইসিজি করা হয়। কিন্তু ডাক্তারদের কোনো প্রচেষ্টাই সফল হয়নি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :