ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটিকে অব্যাহতভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রতি সহায়তা কমাতে বা অভিযুক্ত ইউনিটগুলোর সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পাঁচ ফিলিস্তিনি। খবর আলজাজিরার
সংবামাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গত শতকের ৯০-এর দশকের ‘লেহি আইনের’ আওতায় মামলাটি করা হয়েছে। এই আইনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবিক লঙ্ঘনে জড়িত বিদেশী সামরিক ইউনিটগুলোতে সহায়তা নিষিদ্ধ করে। কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর লেহি আইন বাস্তবায়নে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী পাঁচ ফিলিস্তিনি এই মামলাটি করেন। এই মামলায় বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে ওই পাঁচ ফিলিস্তিনি বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর চাইলে লেহি আইন প্রয়োগ করতে পারতো। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নজিরবিহীনভাবে ইসরায়েলের (মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন) যেভাবে বেড়েছে, তা ভয়ঙ্কর।
মামলার প্রধান বাদী গাজা একজন শিক্ষক আমাল গাজা (ছদ্মনাম)। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাধ্যতামূলক সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তিনি এবং ইসরায়েলি হামলায় তার পরিবারের ২০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
মামলার বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমার দুঃখকষ্ট এবং আমার পরিবার যে অকল্পনীয় ক্ষতি সহ্য করেছে তা কিছুটা হলেও কমবে যদি যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনকারী ইসরায়েলি সেনাদের ইউনিটগুলোকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে আলজাজিরার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে যে তারা বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করে না।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে গাজায় বোমবর্ষণ ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল। এতে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ ও বিশ্বের প্রধান মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ নানা ধরনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :