সিরিয়ায় নিজেদের বিমান চলাচল জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত করেছে ইরান। চলতি মাসের শুরুর দিকে তেহরানের মিত্র সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এই সিদ্ধান্ত নিলো ইরান। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য দেয়া হয়েছে। খবর আল-আরাবিয়ার।
ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের প্রধান হোসেইন পুরফারজানে বার্তা সংস্থা আইএসএনএকে বলেছেন, কোনো দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য গন্তব্য দেশকে বিমান প্রবেশের অনুমতি দিতে হয়। বর্তমানে নতুন বছরের ছুটির পর ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সিরিয়ায় ফ্লাইট অনুমোদিত হবে না। তবে ইরান ঠিক কখন সিরিয়ায় ফ্লাইট স্থগিত করেছে, তা স্পষ্ট নয়।
হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন এক ঝটিকা অভিযানে এই মাসের শুরুতে আসাদ সরকারের পতন হয়। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে মিত্র রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। এইচটিএসের সিরিয়া দখলের পর হাজার হাজার ইরানি সিরিয়া ছেড়েছেন। দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সিরিয়ার নতুন শাসক ও এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারা বছরের পর বছর ধরে দেশটিতে আসাদের পক্ষে ইরানের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। দেশটির ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পুরোটা সময় আসাদকে সমর্থন এবং সামরিক উপদেষ্টা সরবরাহ করেছে তেহরান।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে তাদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। এ ছাড়া সাম্প্রতিক ঘটনার পরে ইরানিদের সিরিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কও করেছে দেশটি।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর ইসরায়েলি একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে সিরিয়ার আকাশপথে ইরানের সামরিক কিংবা বেসামরিক বিমান আর চলাচল করতে পারবে না বলে জানানো হয়। এই খবরের পরই ইরানের তরফ থেকে সিরিয়ায় বিমান চলাচল বন্ধের খবর দেয়া হলো।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :