আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান পশ্চিম কাজাখস্তানে বুধবার বিধ্বস্ত হয়েছে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে যাত্রাকালে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। বিমানে মোট ৬৭ আরোহী ছিল। কর্মকর্তারদের উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এ খবর জানায় ।
তিন শিশুসহ ২৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আজারবাইজান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে বিমানে ৬২ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু সদস্য ছিলেন।
বুধবার এমব্রেয়ার ১৯০ বিমানটি আজারবাইজানীয় রাজধানী বাকু থেকে দক্ষিণ রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরে উত্তর-পশ্চিমে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার পরিবর্তে কাস্পিয়ান সাগর পার হয়ে কাজাখস্তানের আকতাউ শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। বিমান বিধ্বস্তের কারণ এখনও জানা যায়নি।
কাজাখ পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটিতে আজারবাইজানের ৩৭ জন, কাজাখস্তানের ছয়জন, কিরগিজস্তানের তিনজন এবং রাশিয়ার ১৬ জন নাগরিক ছিলেন।
রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা কাজাখ উপ-প্রধানমন্ত্রী কানাত বোজুম্বায়েভকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়, ৩৮ জন মারা গেছে।আজারবাইজানের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ’আমরা এই মুহূর্তে কোনো তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করতে পারছি না। পরিস্থিতি পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ চলছে।
আজারবাইজানের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় আরো জানায়, আজারবাইজানের ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেলের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল কাজাখস্তানে পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, কাজাখস্তানের পরিবহন মামলার দায়িত্বে থাকা প্রসিকিউটর তৈমুর সুলেমানভ বলেছেন, বিমানের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার পাওয়া গেছে ।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :