AB Bank
ঢাকা শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলুপ্ত করলো জিম্বাবুয়ে


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২:৪৯ পিএম, ১ জানুয়ারি, ২০২৫
মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলুপ্ত করলো জিম্বাবুয়ে

আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলুপ্ত করে একটি আইনের অনুমোদন দিয়েছেন। যা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। বিধান বিলুপ্তির বিষয়ে জিম্বাবুয়ের বিচারমন্ত্রী জিয়াম্বি জিয়াম্বি বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলুপ্ত করা আইনি সংস্কারের চেয়েও বেশি কিছু। এটা ন্যায়বিচার আর মানবতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের একটি বিবৃতি।

আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দেশটির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। অধিকার গোষ্ঠীটি বলেছে, এটি আশার আলো। তবে নতুন আইন অনুযায়ী, দেশে জরুরি অবস্থা জারি থাকার সময় প্রয়োজনে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। এই বিধানটি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

জিম্বাবুয়ের পার্লামেন্টে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে ভোট দেওয়ার পর মানাঙ্গাগওয়ার এই পদক্ষেপ নিলেন। জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ ২০০৫ সালে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল, কিন্তু আদালত হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়ে আসছিল।

অ্যামনেস্টি অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে প্রায় ৬০ জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হেরাল্ড পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন তাদের নতুন দণ্ড দেওয়া হবে। বিচারকদের এই অপরাধীদের অপরাধের ধরন বিবেচনা করে নতুন দণ্ড দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ ঔপনেবিশ শাসনের সময় জিম্বাবুয়েতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু হয়।

স্বাধীনতার জন্য গেরিলা যুদ্ধের সময় একটি ট্রেন উড়িয়ে দেওয়ার জন্য ১৯৬০-এর দশকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে মনাঙ্গাগওয়া মৃত্যুদণ্ডের দীর্ঘকাল ধরে সমালোচক ছিলেন। পরে তার সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্তি আইন মঙ্গলবার সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল এবং মানঙ্গাগওয়া এটিতে স্বাক্ষর করেছেন।

অ্যামনেস্টি বলেছে, এই পদক্ষেপটি জিম্বাবুয়ের জন্য শুধুমাত্র বড় একটি অগ্রগতি নয় বরং ‘চূড়ান্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং অবমাননাকর শাস্তি’ শেষ করার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার একটি প্রধান মাইলফলক।মানাঙ্গাগওয়ার জানু-পিএফ দল ১৯৮০ সালে স্বাধীনতার পর থেকে জিম্বাবুয়ে শাসন করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিরোধী দল এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলো বারবার এই দলটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।

অ্যামনেস্টি অনুসারে, আফ্রিকার ২৪টি দেশসহ বিশ্বব্যাপী ১১৩টি দেশ মৃত্যুদণ্ড সম্পূর্ণভাবে বাতিল করেছে। ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা পাঁচটি দেশে। দেশগুলো হলো, চীন, ইরান, সৌদি আরব, সোমালিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


সূত্র : বিবিসি

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!