সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ (টুইটার নামে পূর্বপরিচিত) নিজের নাম বদলে ফেললেন ইলন মাস্ক। এখন আর তার প্রোফাইলের নাম ইলন মাস্ক নয়, নতুন নাম হয়েছে কেকিয়াস ম্যাক্সিমাস (Kekius Maximus)। প্রোফাইল ছবিও বদলেছেন তিনি, দিয়েছেন পেপে দ্য ফ্রগমিমের ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পেপে যোদ্ধার পোশাকে এবং তার হাতে ভিডিও গেমের জয়স্টিক।
টেক মোগল এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছের মানুষ ইলন মাস্ক তার এ নতুন নামের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
মাস্কের এই পদক্ষেপ ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে আলোড়ন তুলেছে। এর ফলে একই নামের একটি মিমকয়েন (যা ইন্টারনেট মিম দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি ডিজিটাল মুদ্রা) এর মূল্য হঠাৎ বেড়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, কোনো ডিজিটাল কনটেন্ট যেমন ছবি, ভিডিও বা লেখাকে (টেক্সট) হাস্যরসাত্মক বা ব্যাঙ্গাতকভাবে উপস্থাপন করে বিনোদনের উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলেই সেটা হয়ে উঠে ‘মিম’। সাধারণত ‘মিম’ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই ‘ভাইরাল’হয় বা ছড়িয়ে পড়ে। আর মিম কয়েন হল এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি, যা ইন্টারনেটের মিম ট্রেন্ডের দ্বারা প্রভাবিত। বছর দুয়েক আগে একইভাবে মিম বাজারে শিবা-ইনুর কায়দার ডোজ কয়েনকে জনপ্রিয় খেলোয়াড় তৈরি করেছিলেন ইলন।
এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করে মাস্ক আগেও ক্রিপ্টোকারেন্সির দামে প্রভাব ফেলেছেন। তবে এই নির্দিষ্ট মিমকয়েনের সঙ্গে তার সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।
উল্লেখ্য, `কেকিয়াস` শব্দটি সম্ভবত `কেক` শব্দটির লাতিন রূপান্তর, যা গেমারদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি শব্দ, যার অর্থ প্রায় `লাফ আউট লাউড` (জোরে হাসি)। তবে সম্প্রতি এটি প্রায়শই উগ্র ডানপন্থীদের ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।
অনেকেই চলচ্চিত্র `গ্ল্যাডিয়েটর`-এ দেখানো `ম্যাক্সিমাস` শব্দটি রাসেল ক্রোর সাহসী চরিত্র, ম্যাক্সিমাস ডিসিমাস মেরিডিয়াসকে মনে করছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :