ভারতের ‘ভূখণ্ড’ নিয়ে নতুন দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষণা চীনের

চীনের উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে নতুন দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল (কাউন্টি) ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। তবে ভারতের অভিযোগ, এই দুই অঞ্চলের মধ্যে তাদের লাদাখের ভূখণ্ডের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। এ ঘটনায় নয়াদিল্লি কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বেইজিংয়ের কাছে তীব্র আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া উত্তর-পশ্চিম চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিনজিয়াং সরকার হোটান প্রিফেকচারের অধীনে হে’আন কাউন্টি এবং হেকাং কাউন্টি নামে দুটি নতুন কাউন্টি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাষ্ট্র পরিষদ এই দুটি কাউন্টি অনুমোদন করেছে, যা হোটান প্রিফেকচারের প্রশাসনিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তবে, শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, নতুন ঘোষিত এই কাউন্টির কিছু অংশ লাদাখের অন্তর্ভুক্ত, যা ভারতের ভূখণ্ডের অংশ। তিনি আরও জানান, ভারত কখনোই এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারিকে স্বীকৃতি দেয়নি।

তিনি বলেন, "আমরা হোটান প্রিফেকচারের অধীনে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। তথাকথিত এই কাউন্টিগুলোর কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের অন্তর্ভুক্ত। ভারত কখনোই এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারিকে স্বীকৃতি দেয়নি।"

রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, "নতুন কাউন্টি তৈরির বিষয়টি এই এলাকায় ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের ও ধারাবাহিক অবস্থানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ভারত কখনোই চীনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলকে বৈধতা দেবে না। আমরা এই বিষয়ে চীনা পক্ষের কাছে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি।"

সম্প্রতি দীর্ঘদিনের আলোচনার পর ভারত ও চীনের মধ্যে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের একটি জটিলতার সমাধান হয়। এর ফলে উভয় দেশই ওই সীমান্ত এলাকা থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সর্বশেষ চীনের নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষণার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্ক আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং এটি নতুন করে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

একুশে সংবাদ/এনএস